Significance of Drawing and Painting in Educational Practices // শিক্ষাগত অনুশীলনে অঙ্কন ও চিত্রকলার তাৎপর্য

 Significance of Drawing and Painting in Educational Practices //  শিক্ষাগত অনুশীলনে অঙ্কন ও চিত্রকলার তাৎপর্য 


চারুকলা একটি মানবীয় ক্রিয়া, যা দ্বারা সজ্ঞানে কতিপয় বাহ্যিক প্রক্রিয়া দ্বারা নিজের মনের অনুভূতি বা কোনোভাবে এমন ভাবে অপরের নিকট পৌঁছে দেয় যে অপরের মন সেভাবে সংক্রমিত হয়, তা উপলব্ধি করতে পারে।

অন্যদিকে যে কলা বা শিল্প প্রধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানোর সঙ্গে আনন্দ দান করে তাকে কারুকলা বলে।

আর এই চারু ও কারুকলা জীবনকে সুন্দর ও রুচিশীল করে তুলে সাহায্য করে সমাজকে সুন্দর ভাবে করতে। কেননা এর ফলে মানুষ মনের আনন্দের পাশাপাশি বেঁচে থাকার জন্য সৃজনশীল চিন্তাভাবনা দ্বারা বাস্তব জীবনের চিত্র ফুটিয়ে তুলে।

এছাড়াও চারু ও কারুকলা জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে সবসময় উন্নত চিন্তা ভাবনা থাকায় সে খুব রুচিশীল হয়। ফলে তার রুচিশীল কাজ সবাই পছন্দ করে এবং তার এই কারুকাজে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়। তার জীবন হয সুন্দর ও সচ্ছল।

আর এর প্রভাব পড়ে সুন্দর সমাজ গঠনে। কেননা সমাজের লোকজন তার কাজ বা রুচিশীল কর্মকাণ্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে সোচ্চার হয়। এছাড়াও কারুকাজ করে সমাজে বিভিন্ন নকশা ছবি তৈরীর মাধ্যমে সমাজের ছোট বাচ্চা এবং কিশোরদের সৃজনশীল হওয়া এবং সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করার কাজ সম্ভবপর হয়।

উন্নত রুচিবোধ থাকায়, সমাজে সবাই পরিপাটি থাকে। ফলে সমাজে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা এবং অপরিচ্ছন্নতার সৃষ্টি হয় না। ফলে সমাজ হযে উঠে অনেক সৃজনশীল, গতিশীল এবং আধুনিক রুচিসম্পন্ন যা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রেরণা জোগায়।

জীবন ও সমাজে চারু ও কারুকলার প্রভাব

যে কলা বা কারুকাজ বাহ্যিক কাজে লাগে না, কিন্তু মনের তৃপ্তি পাওয়া যায়, তাকে চারুকলা বলে। অন্যদিকে যে কলা বা শিল্প প্রধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানাের সঙ্গে আনন্দ দান করে, তাকে কারুকলা বলা হবে। এই দুইয়ের উদ্দেশ্য হলাে শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ ঘটানাে এবং তাদের দেশাত্মবােধ, বিজ্ঞানসম্মত সৃজনশীলতা ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদবুদ্ধ করা।

চারু ও কারুকলার গুরুত্ব

১. সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে এবং তাদেরকে বিভিন্ন রােগ থেকে নিরাময় পেতে হলে – ছবি
এঁকে পােস্টার তৈরি করে খুব সহজেই বােঝানাে যায়। যা বইপুস্তকে লেখালেখি করে বােঝানাে সহজ
নয়। কারণ দেশে লেখাপড়া জানা মানুষের সংখ্যা খুব কম।

২. সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের প্রচার কাজে রাস্তায় হাঁটাচলা, বাস-ট্রাক চলাচলের নিয়ম-কানুন ইত্যাদির
জন্য পােস্টার ও প্রচারপত্রের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন হবে।

৩. সহজে চাষ করা, সেচ দেওয়া, পােকামাকড় থেকে সাবধান থাকা থেকে শুরু করে কীভাবে কৃষি ফলন
বাড়ানাে যায় তা ছবি এঁকে সাধারণ কৃষককে বােঝানাে যায়।

৪. মানচিত্র আঁকা, স্কুল-কলেজের পুস্তকের জন্য ছবি আঁকা, চিকিৎসাবিদ্যা ও কারিগরিবিদ্যার বই পুস্তকের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন জরুরি।

৫. সদ্য নতুন দেশে শিল্প কারখানা ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে। এসব কারখানার উৎপাদনের পর বাজারে ও বিদেশে রপ্তানি করতে গেলে নানারকম রঙে মােড়ক তৈরি করতে হবে। নকশা ও ছবি আঁকতে হবে। ছবি এঁকে বিজ্ঞাপন করতে হবে।

সুতরাং দেশের কাজে, জনগণের প্রয়ােজনে ও কল্যাণে সমাজে চিত্রশিল্পীদের প্রয়ােজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিল্পী তৈরি করার জন্য একটি কলেজ বা প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারিভাবেই শুরু করতে হবে।


Comments

Popular posts from this blog

Drama and Art Education // নাটক এবং শিল্পশিক্ষা

Practicum Paper: Calendar Chart on Various Musical Instruments

Practicum Paper on "Developing a Creative Book Cover Design"